সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার মসজিদে দান করা কাঁঠালের নিলামকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে সোমবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্ট ধরে সংঘর্ষ হয় বলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন জানান।
নিহতরা হলেন: ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০) এবং আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫)।
আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি তারেক চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন বলেন, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে গ্রামের দুটি পক্ষের বিরোধ আছে। অতীতেও তাদের মধ্যে মারামারি ও পাল্টাপাল্টি মামলা-মোকদ্দমার হয়েছে।
গত শুক্রবার গ্রামের মসজিদে দান করা একটি কাঁঠাল ২৫০ টাকায় নিলামে ওঠে। এতে দুই পক্ষের দুজন অংশ নেন। উচ্চস্বরে কথা বলায় দর বুঝতে না পারায় আবার নিলাম ডাকার দাবি জানায় এক পক্ষ। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজনা দেখা দিলে এলাকাবাসী সালিশে বসে বিষয়টির নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়।
সোমবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজনসহ স্থানীয় ‘গণ্যমান্যরা’ সালিশে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সংঘর্ষে আহত হন ২৩ জন। তাদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজন ও ছাতকের কৈতক সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মারা যান।